অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রাষ্ট্রদূতগণ গাজা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে সাক্ষাত করেছেন ।
নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেয়ার কয়েক দিনের মধ্যে সোমবার রাষ্ট্রদূতগণ এ সাক্ষাতের জন্যে মিসর সফরে এলেন। একদিনের অনানুষ্ঠানিক এই সফরটি আয়োজন করে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর।
এদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বিপর্যয়কর মানবিক পরিস্থিতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে জাতিসংঘ প্রধান এন্তোনিও গুতেরেস গাজাকে সমাধিক্ষেত্রের সাথে তুলনা করেছেন।
রাশিয়া ও ব্রিটেনসহ বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতগণ এই সফরে অংশ নিলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স কোন প্রতিনিধি পাঠায়নি।
রাষ্ট্রদূতগণ রাফাহ সীমান্তবর্তী এল আরিশে একটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এখানে গাজা যুদ্ধে আহত অনেককে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
অন্যান্যের মধ্যে তারা সাক্ষাত করেন ওয়াফা আসাদ নামের ২৭ বছর বয়সী একজন নারীর সঙ্গে। তিনি গর্ভবতী ছিলেন। ইসরায়েলি হামলায় তার বাড়ি গুঁড়িয়ে গেছে। স্বামী নিহত ও দুই মেয়ে আহত হয়েছে। ওয়াফার একটি হাত ও পা কেটে ফেলতে হয়েছে। তবু সীমান্ত পাড়ি দেয়ার পর পরই সে একটি সন্তানের জন্ম দেয়। তার বোন আলা রাষ্ট্রদূতদের এ কথা জানায়।
জাতিসংঘের প্রতি আলার আহ্বান যুদ্ধ যেন বন্ধ হয়।
এ পরিস্থিতিতে ইকুয়েডরের রাষ্ট্রদূত জোসে ডি লা গাসকা বলেছেন, হাসপাতাল পরিদর্শন করে তিনি বিধ্বস্ত হয়ে গেছেন।
তিনি বলেছেন. এইমাত্র আমি একজন তরুণী মাকে দেখলাম তিনি তার শিশু বাচ্চাকে হারিয়েছেন। অপর কন্যা আহত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি যা দেখেছি তার আর দেখতে চাই না। এটি ভয়ংকর।
এদিকে গাজায় অব্যাহত ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এতে ১২শ ইসরায়েলি প্রাণ হারায়। এছাড়া হামাস প্রায় দুশো ইসরায়েলিকে জিম্মি হিসেবে আটক করে। এর পর পরই ইসরায়েল গাজায় নির্বিচারে বোমা বর্ষণ ও পরে সর্বাত্মক হামলা শুরু করে।
Leave a Reply